
শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা, নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডে ‘সোচ্চার’-এর গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখঃ ২৮ মে ২০২৫
শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা, নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডে ‘সোচ্চার’-এর গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ
সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ওপর চলমান নির্যাতন, রাজনৈতিক সহিংসতা এবং একের পর এক ছাত্র হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সোচ্চার - টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট ড. শিব্বির আহমদ ও সেক্রেটারি ড. মাহফুজুল হাসান।
‘সোচ্চার - টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ’ মনে করে, শিক্ষাঙ্গনের ছাত্রনির্যাতন ও সহিংস রাজনৈতিক সংস্কৃতি ক্যাম্পাসে ভয়ের পরিবেশ, দমননীতি ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করেছে। জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটগুলোতে সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতা পুরো শিক্ষাব্যবস্থার ওপর এক গভীর আঘাত।
সাম্প্রতিক সহিংসতার চিত্র :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য ধারালো অস্ত্রের হামলায় নিহত।
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তুচ্ছ ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নামে এক ছাত্র ছুরিকাঘাতে নিহত।
গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউটে আতিকুর রহমান গাল্টু নামে এক ছাত্রকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ।
ঢাকা পলিটেকনিকে রাকিবুল ইসলাম নামে একজন ছাত্রকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে আবাসিক হলে ছাত্রদলের নির্যাতনের অভিযোগ।
কক্সবাজার পলিটেকনিকে দু-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাহবাগবিরোধী ঐক্য ও গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মধ্যে সংঘর্ষ।
তিতুমীর কলেজে পৃথক ঘটনায় ছাত্রদল কতৃক বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা ও সাংবাদিকের উপর হামলার অভিযোগ।
এইসব ঘটনা স্পষ্ট করে যে ক্যাম্পাস আগে যেমন ছিল, এখনো তেমনি নিরাপদ নয়—ছাত্ররা রাজনীতির নামে খুন ও নির্যাতনের শিকার। এটি শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, রাষ্ট্রের মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক চেতনাকেও অবমাননা করছে। ক্যাম্পাসে খুন, সহিংসতা, ও ভিন্নমতের ছাত্রদের তুলে নিয়ে নির্যাতন—সবই প্রমাণ করে আমরা দীর্ঘদিন ধরে চলা ভয়াবহ সহিংস সংস্কৃতির মধ্যেই বাস করছি।
‘সোচ্চার’-এর দাবি ও সুপারিশ:
সব ঘটনার দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মানসিক সহায়তা, আইনি পরামর্শ এবং চিকিৎসাসেবা প্রদানে জরুরি ভিত্তিতে ক্যাম্পাস-ভিত্তিক সাপোর্ট সেন্টার চালু করতে হবে।
ছাত্রাবাস ও শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক সহিংসতা ও গ্যাং কালচারের অবসানে আইনগত ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
নির্যাতনের অভিযোগ আসামাত্র ত্বরিত তদন্তের জন্য স্বাধীন ক্যাম্পাস ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন গঠন করতে হবে।
আমাদের আহ্বান—আর কোনো শিক্ষার্থী যেন নির্যাতনে অতিষ্ঠ না হয়, আর কোনো সাম্য বা পারভেজ প্রাণ না হারায়। শিক্ষাঙ্গন হোক নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবিকতার স্থান—সহিংসতা ও দমনের নয়।
বার্তাপ্রেরকঃ
শফিকুল ইসলাম মাহফুজ
মিডিয়া ও পাবলিকেশন ডিরেক্টর, সোচ্চার: Torture WatchDog Bangladesh,
এবং পিএইচডি গবেষক, ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা বার্মিংহাম, ইউএসএ
Email: [email protected]