
আবসার ছুরিটা নিয়ে এসে আমার গলায় ধরে বলল, "এবার ঢাবিতে আরেকটা আবরার হবে"
"তুই কি ছাত্রদল করিস?" আমি বললাম, "হ্যাঁ।"
উত্তর দেওয়ার সাথে সাথেই বদ্ধ মাতাল আবসার রানা আমার বুকে লাথি মারল। এরপর তারা স্ট্যাম্প এবং বড় ছুরি নিয়ে এল। আবসার ছুরিটা নিয়ে এসে আমার গলায় ধরে বলল, "বুয়েটে একটা আবরার হয়েছে, এবার ঢাবিতে আরেকটা আবরার হবে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু বকর মরেছে, আর আজকে তুই মরবি।"
আমি এখনো ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের সেই রাতটা স্পষ্টভাবে মনে করতে পারি, যেন এটা কালকের ঘটনা। সেই যন্ত্রণা, ভয়, অসহায়ত্ব—সবকিছু আমার মনের গভীরে গেঁথে আছে। এখনও আমি ঘুমাতে পারি না, ওদের কণ্ঠস্বর শুনি, ওদের মুখ দেখি, আমার শরীরে ওদের হাতের স্পর্শ অনুভব করি— যারা আমাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল সেই শীতল, অন্ধকার ঘরে। এই ক্যাম্পাসটা আমার আশ্রয়স্থল হওয়ার কথা ছিল— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটা জায়গা হওয়ার কথা ছিল যেখানে আমি বেড়ে উঠব, শিখব, আর আমার পরিবারকে গর্বিত করব। কিন্তু সেই ঘরে আমি শুধু অন্ধকারই পেলাম।
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছিলাম স্বপ্ন নিয়ে। একটি বড় স্বপ্ন। আমার বাবা-মা অনেক কষ্ট করেছেন আমাকে এখানে আনতে। আমি এখনো আমার বাবার হাসি মাখা মুখটা মনে করতে পারি যেদিন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছিলাম। কীভাবে তার চোখ আনন্দে ঝলমল করছিল। আর আমার মা— তিনি চোখের জল আটকে রাখতে পারছিলেন না। "আমাদের ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে," তিনি পাড়াপড়শির কাছে বলতেন, যেন এই এক কথায় বুঝিয়ে দেওয়া যেত যে এটি আমাদের পরিবারের জন্য কতটা বড় ব্যাপার। আমি তাদের গর্বিত করতে চেয়েছিলাম। আমি প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম যে তাদের সমস্ত ত্যাগ স্বীকার করা সার্থক। কিন্তু সেই রাত... সেই রাত সবকিছু বদলে দিল।
আমার পরিবারে রাজনীতির ছোঁয়া থাকলেও শিক্ষক পিতা-মাতার তদারকিতে আমি এমনভাবে বড় হয়েছি যে, আমার মন ছিল পড়াশোনায়, বিতর্কে, কুইজে। তবে ক্যাম্পাস জীবনের শুরু থেকেই আমি ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত হই। ছাত্রদলের ভাইদের বিভিন্ন আড্ডায় আমার সক্রিয় অংশগ্রহন থাকতো। ২০১৮-১৯ সেশনের ছোটভাইদের আবদারে একটি বারবিকিউ পার্টির জন্য খোলা মেসেঞ্জার গ্রুপে সুমন নামের এক ছোট ভাইয়ের বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ছবি শেয়ার করাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ২০১৮-১৯ সেশনের সুমনসহ কয়েকজন জুনিয়রকে তুলে নিয়ে মারধর করে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাকেও নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
ঢাবি ক্যাম্পাসে তখন ভিন্নমত লালন করা ছিলো মারাত্মক অপরাধ। ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের যে নেতারা হলের ক্ষমতা ধরে রাখে, তারা এটা নিয়ে ভাবে না আপনি রাজনীতি করতে চান কি না। তারা শুধু চায় তাদের মিছিল ভরাতে, তাদের স্লোগান দিতে আপনার গলা ব্যবহার করতে, আর আপনি যদি তাদের কথা না শোনেন... তারা আপনাকে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে দিবে না।
২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বরের রাত। তখন আমি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সেই রাতে আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম, ক্লান্ত, আরেকটা ব্যস্ত দিনের পর। আমি মাত্র ঘুমিয়ে পড়তে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ করেই আমার মুখে তীব্র আলো পড়ল। আমি চোখ সরু করে তাকালাম, আর ঠিক তখনই অনুভব করলাম কেউ আমার কলার ধরে টানছে। "উঠ!" কেউ একজন চিৎকার করে উঠলো। আমার বুকের ভেতরটা ধকধক করতে শুরু করল। আমি জানতাম না আমি কী করেছি, কিন্তু আমার ভেতরেই কিছু বলছিল একটা ভয়ংকর কিছু হতে যাচ্ছে। খুব ভয়ানক।
তারা আমাকে কথা বলার সুযোগ না দিয়েই টেনে বের করে নিয়ে গেল। যখন তারা আমাকে নিয়ে গেল গেস্ট রুমে, আমার পা দুটো কাঁপছিল। সেখানে ঢুকে আমি সুমনকে দেখলাম—আমার জুনিয়র—এক কোণায় বসে ছিল, তার মুখ ফুলে গেছে, চোখ লাল, কান্নায় ভেজা। আমি তাকে প্রায় চিনতেই পারিনি। আমার বুকের ভেতরটা মোচড় দিল। তারা ওর সঙ্গে কী করেছে? তারা আমার সঙ্গে কী করতে যাচ্ছে?
তখন ওখানে কেউ একজন আমাকে জিজ্ঞেস করল, "তুই কি ছাত্রদল করিস?" আমি বললাম, "হ্যাঁ।"
কথাটা শেষ হতেই সে আমাকে একটা সপাটে চড় মারল। জোরে। সেই চড়ের আঘাতে আমি মাটিতে পড়ে গেলাম। কিছু বুঝতে পারার আগেই আমার পাঁজরে একটা লাথি পড়ল, তারপরে আবার কিক। চারপাশটা যন্ত্রণায় ভরে গেল। আমি তাদের হাসির আওয়াজ শুনতে পেলাম, আমার দিকে চিৎকার করতে লাগল, কিন্তু তাদের কথা আমার মাথায় ঢুকছিল না। যন্ত্রণায় আমার পুরো শরীর কাঁপছিল। আমি জানি না কতক্ষণ চলছিল এভাবে। মনে হচ্ছিল সময় থেমে গেছে। হঠাৎ কেউ একটা লোহার রড তুলল। তখনই বুঝলাম এটা শুধু ভয় দেখানোর জন্য নয়। তারা আমাকে সত্যিই মেরে ফেলতে চায়।
সেখানে উপস্থিত নাহিদ ভাই, যিনি আমাকে খুব ভালোবাসতেন, আমাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই আঘাতপ্রাপ্ত হলেন। রুমে যারা ছিল, তাদের অধিকাংশই নেশাগ্রস্ত ছিল। তাদের প্রশ্নের জবাবে আমি বললাম, "আমার পরিবার থেকেই ছাত্রদলের আদর্শে বিশ্বাসী, আমি এই আদর্শ ধারণ করি। আমি তো কখনোই বলিনি যে আমি আপনাদের ছাত্রলীগের সাথে আছি, আমি আপনাদের কোনো ক্ষতি করিনি।"
এ কথা শোনার পর বদ্ধ মাতাল আবসার হাসান রানা আমার বুকে লাথি মারল। এরপর তারা স্ট্যাম্প এবং বড় ছুরি নিয়ে এল। আবসার ছুরিটা নিয়ে এসে আমার গলায় ধরে বলল, "বুয়েটে একটা আবরার হয়েছে, এবার ঢাবিতে আরেকটা আবরার হবে। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু বকর মরেছে, আর আজকে তুই মরবি।"
তখন আমার খুব মায়া লাগছিল আমার পরিবারের জন্য; আব্বু, আম্মুর কথা বারবার মনে পড়ছিল। মনে হচ্ছিল আজ কিছু হলে আমি আর তাদের দেখতে পাব না। আবসারের অবস্থা দেখে বাকিরা একটু বিচলিত হয়ে যায় এবং তাকে থামানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে নাহিদ ভাই বিরক্ত হয়ে আবসারকে আঘাত করে এবং তার হাত থেকে ছুরিটা কেড়ে নেয়। এরপর আবসার একটা স্ট্যাম্প নিয়ে এসে আমার পিঠে, হাতে, পায়ে এবং কব্জিতে একনাগাড়ে আঘাত করতে থাকে। আমি সেখানে পড়ে রইলাম, ভাঙাচোরা, রক্তাক্ত, ভয়ে, ভাবছিলাম, কীভাবে এর মধ্যে পড়লাম? আমি কী করেছি?
আমার বাবা-মা সম্পর্কে ভাবতে লাগলাম। তারা যদি আমাকে এভাবে দেখতো তাহলে কী ভাবতো? যদি জানতো তাদের ছেলে—যার জন্য তারা এত কষ্ট করেছে—সে এখানে, মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে, ভাঙাচোরা, সব হারিয়ে ফেলার পথে? আমার গ্রামের কথা মনে পড়ল, ডুমুরিয়া, কেমন করে সবাই গর্বিত ছিল যখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। তারা যদি আমাকে এখন দেখত, চিনতেই পারত না। আমি নিজেই নিজেকে চিনতে পারছিলাম না।
অনেক লোক জানালার বাইরে এবং দরজার সামনে আমার জন্য জড়ো হয়েছিল।
বাইরে এত লোক দেখে তারা আমাকে উপরে নিয়ে গেল। উপরে ছাত্র সংসদের রুমে আমাকে আটকে রাখা হলো। সেখানে আমাকে হাত-মুখ ধুয়ে ফ্রেশ করিয়ে বসানো হলো, এবং আমার ব্যাচমেটদের ডেকে আনা হলো আমাকে মারার জন্য। ইমরান হোসেন ইমু এবং মহিউদ্দিন বিশেষ করে আমাকে মারার জন্য খুব উৎসাহিত ছিল। তবে বাকিরা ইমরান এবং মহিউদ্দিনকে থামানোর চেষ্টা করল। জহির এবং আনিস ছিল যারা আমাকে বাঁচানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।
ইমরান ও মহিউদ্দিন বলতে লাগল, "তোমরাও তাহলে ছাত্রদল করো, তাই রাকিবকে মারতে চাইছ না।" এর পরও ইমরান ও মহিউদ্দিন আমাকে মারতে শুরু করল, তবে আবারও তাদের থামানো হলো। কিছুক্ষণ পর সিনিয়ররা রুমে এসে দেখল আমাকে মেরেছে, কিন্তু রক্তপাত হয়নি। এবার তারা জুনিয়রদের ডেকে আনলো আমাকে মারার জন্য।
আমি তাদের বললাম, "যদি মারতেই হয়, তবে আমাকে একেবারে মেরে ফেল। কারণ আমি তোদের সবসময় ছোট ভাই হিসেবে ভালোবেসেছি। তোদের হাতে যদি আজ মার খেতে হয়, তাহলে আমি সুইসাইড করব। তার চেয়ে তোরা আমাকে মেরে ফেল, আমাকে এমন পাপে ফেলিস না।"
আমার কথা শোনার পর সবাই রুম থেকে বেরিয়ে গেল। এরপর আবার সিনিয়রদের পালা এল। আরও কিছু সিনিয়রকে ডাকা হলো, কিন্তু তারা কেউ আমাকে মারতে রাজি হলো না। তারা কেউ ক্রিকেট, ভলিবল, ডিবেটের সাথে জড়িত ছিল, আর প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমি তাদের খুব কাছের ছিলাম। তাই কেউই আমাকে মারতে চায়নি।
তখন আবারও সেই আবসার, আশিকুর রহমান লাভলু (সে স্যার এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ও ডাকসু সদস্য ছিলো), মেহেদী হাসান দিপু এবং আরও দু'একজন তাদের তাণ্ডব শুরু করল। তারা হাত দিয়ে মারতে শুরু করল, কিন্তু একটু পর দেখা গেল তাদের হাতেই ব্যথা শুরু হয়েছে। তখন তারা আবার স্ট্যাম্প তুলে নিল।
এভাবে চলতে চলতে যখন আমি তাদের কাছে পানি চাই, তখন তারা বলে, "পানি তোর আল্লাহর কাছেই গিয়ে খাস। এখন আর পানি খাওয়ার দরকার নাই।" এরপরও যখন আমি মেঝেতে পড়ে গোঙাচ্ছিলাম এবং পানি পানি করছিলাম, তখন তাদের মধ্যে কেউ একজন নোংরা ভাষায় বলল, "পানি খেতে চাচ্ছে, ওর মুখে প্রস্রাব করে দে।"
তারা হলের জিএস রাহিম সরকার ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বললেন, "রাকিবকে আর মারার দরকার নেই, ওকে হল থেকে বের করে দাও।" সাদ্দাম ভাইও ((ডাকসু এজিএস এবং তৎকালীন ঢাবি ছাত্রলীগ সেক্রেটারি ও পরবর্তীতে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি) একই কথা বললেন, "ওকে হল থেকে বের করে দাও।" তারপরও জুয়েল রানা এসে আরেক ধাপ মারধর করলো।
ওরা আমাকে একটা আল্টিমেটাম দিল: হল ছেড়ে চলে যাও নাহলে আরও খারাপ হবে। আরও খারাপ? এইটার চেয়ে খারাপ আর কী হতে পারে? আমি জানতে চাইনি।
আমাকে সেই সকালে হল গেটে ফেলে আসে, হাঁটতে প্রায় অক্ষম। কয়েকজন বন্ধু আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেল। আমি সেখানে দুই দিন ছিলাম। ডাক্তাররা বলল আমার পাঁজর, উরু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুরো শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন, আর মাথায় আঘাত পেয়েছি।
সুস্থ হওয়ার পর আমি আবার আমার আগের জীবনে ফেরার চেষ্টা করলাম। কিন্তু কিছুই আর আগের মতো ছিল না। কারও চোখে চোখ রাখতে পারতাম না। ক্লাসরুমে বসতে পারতাম না, সবসময় মনে হতো কেউ আমার পেছনে তাকিয়ে আছে, আবার আঘাত করার জন্য অপেক্ষা করছে। যে জিনিসগুলো একসময় আমাকে আনন্দ দিত—বিতর্ক করা, পড়াশোনা করা, বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো—সব তখন শূন্য মনে হতো। হলটা, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়টাই যেন একটা জেলখানা হয়ে গেছে।
আমাকে নির্যাতনের ঘটনায় ঢাবির স্যার এফ রহমান হল ছাত্রলীগের আরো কয়েকজন জড়িত থাকলেও যাদের কথা আমার মনে আছে তারা হলো-
১. আবসার হাসান রানা (সমাজ বিজ্ঞান)
২. আশিকুর রহমান লাভলু (ইংরেজি, ২০১৫-১৬ সেশন)
৩. জুয়েল রানা (উর্দু, ২০১৫-১৬ সেশন)
৪. মেহেদি হাসান দীপু (সঙ্গীত)
তারা আমাকে কিছু বলার জন্য নিষেধ করেছিল। তারা আমাকে হুমকি দিয়েছিল মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার ভবিষ্যৎ ধ্বংস করবে যদি আমি কিছু বলি। ওদের হিংস্রতাকে আমি বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু সেই নীরবতা আমাকে ভেতর থেকে খেয়ে ফেলছে।
আমি তাদের মুখ দেখি আমার দুঃস্বপ্নে। আমি তাদের হাসি শুনি, তাদের হুমকি শুনি। যখনই আমি সেই হলের পাশ দিয়ে হেঁটে যাই, আমার মেরুদণ্ড দিয়ে একটা ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে যায়। আর আমি রাগে ফেটে পড়ি—শুধু তাদের উপর নয়, পুরো সিস্টেমের উপর। সেই সিস্টেম, যা এইসব ঘটতে দেয়। সেই সিস্টেম, যা লোকজনকে দায়মুক্তি দেয় শুধু তারা ক্ষমতা ধরে রেখেছে বলে। রাজনীতি পরিবর্তনের জন্য হওয়ার কথা ছিল, ভালো কিছু করার জন্য হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখানে, এই ক্যাম্পাসে, এটা শুধুই সহিংসতা, নিয়ন্ত্রণ, আর ভয়।
আমি জানি না আমি কখনো পুরোপুরি সুস্থ হব কিনা। তারা আমার উপর যে দাগ রেখে গেছে—ভেতরে আর বাইরে—সেগুলো কখনো পুরোপুরি সারবে না। কিন্তু আমি একটাই জিনিস জানি: আমি চিরকাল নীরব থাকতে পারব না। আমাকে আমার কথা বলতে হবে, আমার জন্য, সুমনের জন্য, আর সব মানুষের জন্য যারা এই বিষাক্ত, সহিংস খেলায় হারিয়ে গেছে। আমি প্রতিশোধ চাই না। আমি বিচার চাই। আমি এমন একটা ভবিষ্যৎ চাই যেখানে ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিখতে আসে, অত্যাচারিত হতে নয়। যেখানে রাজনীতি অস্ত্র নয়, বরং আসল পরিবর্তনের জন্য একটা হাতিয়ার।
মো: রাকিবুল হাসান
মনোবিজ্ঞান বিভাগ (৫৩ ব্যাচ)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১৭-১৮ সেশন